মদিনা সহিহ হাদিস রিসার্চ সেন্টার
উপদেষ্টা
মোঃ আনোয়ার হোসাইন আকন্দ (কামিল, ফার্স্ট ক্লাশ-আল হাদিস) সরকারি মাদ্রাসা-ই আলিয়া, ঢাকা, বাংলাদেশ। কিছু কথা MSHRC একটি PMMRC কর্তৃক পরিচালিত অনলাইন ভিত্তিক
সহিহ দ্বীনি শিক্ষা কেন্দ্র। এখানে নিয়মিত অধ্যয়ন করলে আপনার সকল আমলের ভুল ভ্রান্তিগুলো
ধরা পড়বে এবং সংশোধিত হবে। এখানে প্রকাশিত প্রতিটি বই ছিয়া ছিত্তাহ হাদিস গ্রন্থ ছাড়াও অতিরিক্ত সকল হাদিস
গ্রন্থ থেকে সহিহ দলিল তুলে ধরা হয়েছে। আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে এ পর্যন্ত কুরআন ও সহিহ হাদিস ভিত্তিক আমার লিখিত ও সংকলিত ২২৫টি ইসলামি বই অনলাইনে প্রকাশিত হয়েছে। আমাদের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে কুফর, শিরক, নিফাক ও বিদআত মুক্ত পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র গঠন।
আপনারা দোয়া করবেন আল্লাহ যেনো আমাদের উদ্দেশ্য
পূর্ণ করেন। ভুল ভ্রান্তি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। |
(আপনি যে বিষয়টি জানতে চান তার উপর ক্লিক করুন)
=========================
Saalat
English Version
|
||
1 |
The
Saheeh Rules of Accepting Salat- (সালাত কবুল হওয়ার সহিহ নিয়ম)-First Volume
(Part-I).
|
|
2 |
Last
Meeting (Tashoud Meeting)-শেষ বৈঠক (তাশাহুদ বৈঠক), (Part-II
|
|
=========================
দোয়া ও মোনাজাত অধ্যায়
|
||
1 |
দোয়া
কেনো কবুল হয় না।
|
|
2 |
ফরজ
সালাত শেষে সম্মিলিত মোনাজাত সুন্নত না বিদআত-দ্বন্দ্ব নিরসন।
|
|
3 |
দুই
হাত তুলে দোয়া বা মুনাজাত করার সহিহ নিয়ম।
|
|
4 |
|
CLICK HERE |
=========================
ফজিলতপূর্ণ দোয়া/যিকির ও আমল অধ্যায়
|
||
1 |
কুরআন
ও সহিহ হাদিস হতে অধিক ফজিলতপূর্ণ যিকির ও দোয়াসমূহ।
|
|
2 |
সকাল
ও বিকেলে পঠিতব্য অধিক ফজিলতপূর্ণ দোয়াসমূহ।
|
|
3 |
অভাব-অনটন
ও দুঃখ কষ্ট থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার দোয়া বা আমলসমূহ।
|
|
4 |
বিপদ
আপদ ও টেনশন বা দুশ্চিন্তা দূর করার দোয়া বা আমলসমূহ।
|
|
5 |
সহিহ
হাদিসের আলোকে দৈনন্দিন ব্যবহৃত দোয়া ও আমলসমূহ (প্রথম অংশ)।
|
|
6 |
সহিহ
হাদিসের আলোকে দৈনন্দিন ব্যবহৃত দোয়া ও আমলসমূহ (দ্বিতীয় অংশ)।
|
|
7 |
গুণাহ
মাফ ও জান্নাত পাওয়ার সহজ আমল।-১
|
|
8 |
গুণাহ
মাফ ও জান্নাতে যাওয়ার অধিক ফজিলতপূর্ণ আমলসমূহ-২
|
|
9 |
দৈনন্দিন
সহজ কিছু জান্নাতি আমল।
|
|
10 |
রাসুল
(ছাঃ)-এর উপর অধিকহারে দরুদ পড়ার ফজিলত
|
|
|
11 |
রিজিক
বৃদ্ধির প্রথম আমল -আল্লাহর উপর ভরসা করা।
|
|
12 |
তাওবা
ও ইস্তেগফারে রিজিক বৃদ্ধি পায়, অভাব-অনটন দূর হয়: (ইহা পরীক্ষিত)
|
|
13 |
দৈনিক
তাসবীহ, তাহমীদ, তাহলীল ও তাকবীর।
|
|
14 |
যেসব
আমলে রিজিক বৃদ্ধি পায়।
|
|
15 |
যিকির
কি? ভন্ডামী যিকির বনাম সহিহ যিকির। সহিহ পথ কোনটি?
|
|
16 |
সহিহ
হাদিস ভিত্তিক গুরুত্বপূর্ণ সহিহ আমল। (৮৯টি সহিহ দোয়া)
|
|
17 |
ঘুমানোর
দোয়া বনাম রাতের ইবাদত।
|
|
18 |
গোলাম
আজাদ করার ন্যায় ফজিলতপূর্ণ আমলসমূহ |
|
|
19 |
|
CLICK HERE |
20 |
|
CLICK HERE |
21 |
|
CLICK HERE |
কবর/কিয়ামত/জান্নাত/জাহান্নাম (পরকাল)
1 |
নবি
(সাঃ) এর উম্মত জাহান্নামে যাবে কেনো? (প্রথম অংশ)। |
|
2 |
নবি
সাঃ এর উম্মত জাহান্নামে যাবে কেনো? (দ্বিতীয় অংশ)।
|
|
3 |
যেসব
কারণে অধিকাংশ নারী জাহান্নামী।
|
|
4 |
জাহান্নামের
বর্ণনা ও জাহান্নাম থেকে মুক্তির উপায়। (তৃতীয় অংশ)
|
|
5 |
পরকালে
মানুষকে যেসব প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।
|
|
6 |
আল্লাহর
সন্তুষ্টি লাভের উপায়।
|
|
7 |
বান্দার
যেসব গুণ আল্লাহতায়ালা পছন্দ করেন।
|
|
8 |
রুহ
কবজ ও কবরের শাস্তির সত্যতা।
|
|
9 |
পাপ,
তওবা ও মুক্তির উপায়।
|
কুরআন অধ্যায়
1 |
সহিহ
হাদিস ভিত্তিক কুরআনের মর্যাদা ও আমলসমূহ। |
|
2 |
কুরআন
তেলাওয়াতের আদব সমূহ। |
|
রাসুল সাঃ ও সাহাবাগণের জীবনী
1 |
রাসুল
সাঃ এর মুজিজাসমূহ। |
|
2 |
শহিদ
ও মুজাহিদদের মর্যাদা, শহিদগণ কি কবরে জীবিত? |
|
3 |
রাসুল
(ছাঃ)-এর প্রতি দরূদ পাঠের ফজিলত ও গুরুত্ব।
|
|
ইসলামি আইন
1 |
ইসলামি
আইন বনাম মুসলমান।
|
|
2 |
যিনা/ব্যভিচার
ও ধর্ষণ বনাম ইসলামি আইন। |
|
3 |
ঈমান
বিধ্বংসী অস্ত্র-মুসলিম সমাজে মাদকের ব্যাপকতা। |
|
4 |
মানবরচিত
ও ইসলামি আইনে মিথ্যে সাক্ষ্য ও মামলা দায়ের এবং বিচারকের রায়-শাস্তি ও পরিনতি। |
|
======================
বিভিন্ন
পাপের শাস্তি ও শেষ পরিনতি অধ্যায়
|
||
1 |
মাতা-পিতার
অবাধ্য সন্তানের ভয়াবহ পরিনতি।
|
|
2 |
অন্যায়-অত্যাচারকারীর
ভয়াবহ পরিনতি।
|
|
3 |
প্রতিবেশীর
সাথে অসদাচরনের ভয়াবহ পরিনতি |
|
|
4 |
যেসব
কাজে আল্লাহর অভিশাপ নাযিল হয়।
|
|
5 |
যিনা/ব্যভিচার
ও ধর্ষণ এর শাস্তি।
|
|
6 |
রাসুল
(সাঃ) এর নামে কটূক্তি বা অবমাননার ভয়াবহ পরিনতি।
|
|
7 |
মজুদদারী
বা মুনাফাখোরীদের ভয়াবহ পরিনতি।
|
|
8 |
অর্থ
সম্পদ আত্মসাৎ করার ভয়াবহ পরিনতি।
|
|
9 |
রাসুল
(ছাঃ)-এর উপর নির্যাতনকারীদের ভয়াবহ পরিনতি।
|
|
10 |
মদ্যপায়ী
ব্যক্তিদের ইহকালীন ও পরকালীন শাস্তি।
|
|
11 |
আত্মীয়তার
সম্পর্ক রক্ষার গুরুত্ব, ফজিলত ও ভয়াবহ পরিনতি।
|
|
12 |
গীবত
একটি মারাত্মক কবীরা গুনাহ ও এর ভয়াবহতা।
|
|
13 |
মানুষ
হত্যা মহাপাপ।
|
|
14 |
অবৈধ
উপায়ে অর্থ সম্পদ উপার্জনকারী হবে জাহান্নামী।
|
|
15 |
মানুষকে কষ্ট দেওয়ার পরিণতি।
|
|
16 |
ইয়াতীমের সম্পদ আত্মসাৎকারীর ভয়াবহ পরিণতি।
|
|
17 |
ঘুষখোরদের ভয়াবহ পরিণতি।
|
|
18 |
সুদখোরের ভয়াবহ পরিণতি।
|
|
19 |
শুকরের
মাংস নিষিদ্ধ কেন? কুরআন ও বাইবেল ভিত্তিক আলোচনা।
|
|
20 |
গান-বাজনা
করা ও শোনা ইসলামের হুকুম কি?
|
|
21 |
|
|
22 |
|
|
======================
(১) পিরতন্ত্র বা সুফিবাদ বনাম ইসলাম-(শয়তানের ওহী কার উপর নাযিল হয়?)।
(২) পির-অলিদের ভ্রান্ত আক্বিদাহসমূহ।
(৩) মুখে বলে মুসলমান কর্মকান্ডে সে কাফের।
(৪) যেসব আমলের কারণে মুসলমান মুশরেকে পরিনত হয়।
(৫) মুনাফিক মুসলমানদের মুনাফিকীকরণ ও তাদের রাজত্ব।
(৬) মূর্তি নির্মাতা বা ভাষ্কর ও ছবি অংকনকারী জাহান্নামি।
ইসলামি চিকিৎসা ব্যবস্থা অধ্যায়
দান/সাদাকা/যাকাত প্রদানের মাধ্যমে সহযোগিতা করুন Pure Muslim Making Research Center
(PMMRC) একটি অনলাইন ভিত্তিক দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ২০১৯ সাল থেকে কুরআন ও সহিহ
হাদিস ভিত্তিক ইসলামের বিভিন্ন বিষয় এখানে প্রচারিত হয়ে আসছে। এই অনলাইন ভিত্তিক দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে
দান/সাদাকা/যাকাত প্রদানের মাধ্যমে সহযোগিতা করুন। এটি সম্পূর্ণ ব্যক্তি উদ্যোগে
পরিচালিত এবং কোনো দল/ সংগঠনের অন্তর্ভুক্ত নয়, আপনাদের সহযোগিতা দ্বীনের এই কাজকে
আরও ত্বরান্বিত করবে ইং-শা-আল্লাহ। |
যেভাবে সহযোগিতা করবেন নগদ, বিকাশঃ 01716508708 রকেটঃ 017165087082 আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন,
রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কোন লোককে সৎ কাজের
দিকে আহবান করবে, তার জন্যও সে পরিমাণ সাওয়াব রয়েছে যা তার অনুসারীদের জন্য রয়েছে,
অথচ তাদের সাওয়াবের কোন অংশ একটুও কমবে না। অনুরূপ যে ব্যক্তি কাউকে গোমরাহীর দিকে
আহবান করে তারও সে পরিমাণ গুনাহ হবে, যতটুকু গুনাহ তার অনুসারীদের জন্য হবে। অথচ
এটা অনুসারীদের গুনাহকে একটুও কমাবে না। (মিশকাতুল মাসাবীহ
(মিশকাত) ১৫৮, সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী) ৬৬৯৭, আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ২৬৭৪, ইসলামিক
ফাউন্ডেশন ৬৫৬০, ইসলামিক সেন্টার ৬৬১৪)। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)। অতএব দান/সাদাকা/যাকাত প্রদানের
মাধ্যমে আমাদের সাথে সংযুক্ত থেকে লোকজনকে সৎপথে আহবান করে অশেষ সওয়াব অর্জন করতে
থাকুন। |
আল্লাহ তায়ালা বলেন, “যারা আল্লাহর পথে ব্যয় করে, তাদের উপমা একটি শস্য-বীজের মত, যা থেকে সাতটি শীষ জন্মে, প্রতিটি শীষে থাকে একশত শস্য-দানা। আর আল্লাহ যার জন্য ইচ্ছা বহুগুণে বৃদ্ধি করে দেন। আল্লাহ মহাদানশীল, মহাজ্ঞানী”। (সূরা বাক্বারাহ-২৬১)। তিনি আরো বলেন, “হে বিশ্বাসিগণ! তোমরা যা উপার্জন কর এবং
আমি জমি হতে তোমাদের জন্য যা উৎপাদন করে থাকি, তা থেকে যা উৎকৃষ্ট তা দান কর। এমন
মন্দ জিনিস দান করার সংকল্প করো না, যা তোমরা মুদিত চক্ষু ব্যতীত গ্রহণ কর না”। (সূরা বাক্বারাহ-২৬৭)। আল্লাহ তায়ালা বলেন, “অতঃপর যে ব্যক্তি দান করেছে এবং আল্লাহকে
ভয় করেছে আর ভাল কথাকে সত্য বলে বুঝেছে, তবে আমি তাকে শান্তির উপকরণ প্রদান করব।
আর যে ব্যক্তি কার্পণ্য করেছে এবং বেপরোয়া হয়েছে আর ভাল কথাকে অবিশ্বাস করেছে, ফলতঃ
আমি তাকে ক্লেশদায়ক বস্তুর জন্য আসবাব প্রদান করব”। (সুরা
আল-লাইলঃ ৫-৯)। রাসুল সাঃ বলেন, (ক) আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে
বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ঈমানদার
ব্যাক্তির মৃত্যুর পর তার যেসব কাজ ও তার যেসব পুণ্য তার সাথে যুক্ত হয় তা হলঃ যে
জ্ঞান সে অন্যকে শিক্ষা দিয়েছে এবং তার প্রচার করেছে, তার রেখে যাওয়া সৎকর্মপরায়ণ
সন্তান, কুরআন যা সে ওয়ারিসী সূত্রে রেখে গেছে অথবা মাসজিদ যা সে নির্মাণ করিয়েছে
অথবা পথিক-মূসা ফিরদের জন্য যে সরাইখানা নির্মাণ করেছে অথবা পানির নহর যা সে খনন
করেছে অথবা তার জীবদ্দশায় ও সুস্থাবস্থায় তার মাল থেকে যে দান-খয়রাত করেছে তা তার
মৃত্যুর পরও তার সাথে (তার আমলনামায়) যুক্ত হবে। (সুনান
ইবনু মাজাহ ২৪২, সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
৪১১৫, আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ১৬৩১, সুনান আততিরমিযী ১৩৭৬, সুনান আননাসায়ী ৩৬৫১,
সুনান আবূ দাঊদ ২৮৮০, আহমাদ ৮৬২৭, দারিমী ৫৫৯, হাদিস সম্ভার ৯৬৪)। হাদিসের মানঃ হাসান
(Hasan)। (খ) আবূ
হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ প্রতিদিন
সকালে দু’জন ফেরেশতা অবতরণ করেন। তাঁদের একজন বলেন, হে আল্লাহ! দাতাকে তার দানের
উত্তম প্রতিদান দিন আর অপরজন বলেন, হে আল্লাহ! কৃপণকে ধ্বংস করে দিন। (সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন) ১৪৪২, সহীহ মুসলিম (হাদীস
একাডেমী) ২২২৬, আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ১০১০, আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৩৪৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ
১৩৫৫, হাদীস সম্ভার ৯২৯)। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)। (গ) আদী ইবনে হাতেম (রাঃ) বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি, তোমরা জাহান্নাম থেকে বাঁচো; যদিও খেজুরের এক টুকরো সাদকাহ করে হয়! (যদি এক টুকরা খেজুরও না পাও, তবে উত্তম কথা বলে।)
(সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন) ১৪১৭, ১৪১৩, হাদীস সম্ভার ৯২৬, আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৩২৫, ইসলামিক
ফাউন্ডেশনঃ ১৩৩১)। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)। (ঘ) সাঈদ
ইবনু ইয়াসার (রহঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি আবু হুরাইরা (রাঃ)-কে বলতে শুনেছেন, রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে লোক বৈধ উপার্জন হতে দান খায়রাত করে,
আর আল্লাহ তাআ’লা হালাল ও পবিত্র মাল ছাড়া গ্রহণ করেন না, সেই দান দয়াময় রাহমান
স্বয়ং ডান হাতে গ্রহণ করেন, তা যদি সামান্য একটি খেজুর হয় তাহলেও। এটা দয়াময়
রাহমানের হাতে বাড়তে বাড়তে পাহাড় হতেও বড় হয়ে যায়; যেভাবে তোমাদের কেউ তার
দুধ ছাড়ানো গাভী বা ঘোড়ার বাচ্চাকে লালন পালন করে থাকে। (সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত) ৬৬১, জিলালুল জুন্নাহ ৬২৩,
তা’লীকুর রাগীব, ইরওয়া ৮৮৬)। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)। (ঙ) আয়িশাহ্
(রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যদি
কোনো স্ত্রী স্বামীর ঘর থেকে নষ্টের উদ্দেশ্য না রেখে কিছু দান করে, তবে সে দানের
কারণে সওয়াব পাবে এবং তার স্বামীও অনুরূপ সওয়াব পাবে উপার্জন করার কারণে। রক্ষণাবেক্ষণকারীও
অনুরূপ সওয়াব পাবে। কিন্তু এতে কারোর সওয়াবে অন্যের কারণে ঘাটতি হবে না। (সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত) ১৬৮৫, সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
১৪৩৭, ১৪২৫, আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৩৪৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৩৫১)। হাদিসের মানঃ সহিহ
(Sahih)। (চ) ইবনু
আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, এক লোক বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমার মা মৃত্যুবরণ করেছেন।
তার পক্ষে আমি দান-খয়রাত করলে তার কি কোন কল্যাণে আসবে? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ হ্যাঁ। সে বলল, আমার একটি বাগান আছে। আপনাকে আমি সাক্ষী
রেখে তার পক্ষ থেকে তা দান করলাম। (সুনান আত তিরমিজী
(তাহকীককৃত) ৬৬৯)। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)। (ছ) আবূ
হুরাইরাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে দিন
আল্লাহর (রহমতের) ছায়া ছাড়া আর কোন ছায়া থাকবে না, সেদিন সাত ব্যক্তিকে আল্লাহ তা‘আলা
তাঁর নিজের (আরশের) ছায়ায় আশ্রয় দিবেন। ১. ন্যায়পরায়ণ শাসক, ২. সে যুবক যার জীবন গড়ে উঠেছে তার প্রতিপালকের ইবাদতের মধ্যে, ৩. সে ব্যক্তি যার অন্তর মসজিদের সাথে সম্পৃক্ত
রয়েছে, ৪. সে দু’ ব্যক্তি যারা পরস্পরকে ভালবাসে
আল্লাহর ওয়াস্তে, একত্র হয় আল্লাহর জন্য এবং পৃথকও হয় আল্লাহর জন্য, ৫. সে ব্যক্তি যাকে কোনো উচ্চ বংশীয় রূপসী
নারী আহবান জানায়, কিন্তু সে এ বলে প্রত্যাখ্যান করে যে, ‘আমি আল্লাহকে ভয় করি’, ৬. সে ব্যক্তি যে এমন গোপনে দান করে যে,
তার ডান হাত যা খরচ করে বাম হাত তা জানে না, ৭. সে ব্যক্তি যে নির্জনে আল্লাহর যিকর করে,
ফলে তার দু’ চোখ দিয়ে অশ্রুধারা বইতে থাকে। (সহীহ বুখারী
(তাওহীদ পাবলিকেশন) ৬৬০, ১৪২৩, ৬৪৭৯, মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত) ৭০১, সহীহ মুসলিম
(হাদীস একাডেমী) ২২৭০, আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ১০৩১, সুনান আননাসায়ী ৫৩৮০, সুনান আততিরমিযী
২৩৯১, আহমাদ ৯৬৬৫, সহীহ ইবনু হিব্বান ৪৪৮৬, ইরওয়া ৮৮৭, আধুনিক প্রকাশনীঃ ৬২০, ইসলামিক
ফাউন্ডেশনঃ ৬২৭)। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)। |
ভন্ড পির-অলি ও বিদআতী আলেমদের করুণ পরিনতির দলীলসমূহ
(১) আল্লাহ তায়ালা বলেন,
“হে নবি বলো, আমি কি তোমাদের জানিয়ে দেব না কোন কোন লোক নিজেদের আমলের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ব্যর্থ?
এরা হচ্ছে ঐ সমস্ত লোক যারা ইহকালের জীবনে ভ্রান্ত পথে চলে এবং মনে করে যে তারা ঠিক
পথ ধরেই চলেছে। এরা তারাই, যারা তাদের প্রতিপালক প্রভুর আয়াতগুলোকে মেনে নিতে অস্বীকার
করেছে এবং তার দরবারে প্রত্যাবর্তনের প্রতি অবিশ্বাস পোষন করে। এ জন্যে তাদের সকল আমল
নষ্ট হয়ে গেছে এবং কিয়ামতের দিন তাদের কোনই গুরত্ব থাকবে না। তারা যে কুফরী করেছিলো
আর আমার আয়াত ও রাসুলগণের প্রতি ঠাট্টা বিদ্রুপ
করতো তার প্রতি দানে তারা জাহান্নামের শাস্তি ভোগ করবে”। (সুরা
কাহাফঃ ১০৩-১০৫)।
(২) আল্লাহ
তায়ালা বলেন,
“যারা তাঁর (রাসুলসঃ) হুকুমের বিরুদ্ধাচারন করে এ বিষয় তাদের সতর্ক থাকা একান্ত কর্তব্য যে, তারা
মহাবিপদ গ্রস্ত হবে অথবা যন্ত্রনা দায়ক আযাব তাদেরকে পাকড়াও করবে”। (সুরা নূর-৬৩)।
(৩) আল্লাহ তায়ালা বলেন,
“আর কারো নিকট সৎ পথ প্রকাশ হওয়ার পর সে যদি
রাসূলের বিরুদ্ধাচরণ করে এবং মুমিনদের পথ ছাড়া অন্য পথ অনুসরণ করে, তবে যেদিকে সে
ফিরে যায় সে দিকেই তাকে আমরা ফিরিয়ে দেব এবং তাকে জাহান্নামে দগ্ধ করাব, আর তা কতই
না মন্দ আবাস!” (সুরা আন নিসা ৪:১১৫)।
(৪) “তোমরা কি কোরআনের কোন কোন অংশ (আয়াত) মানো
আর কোন কোন অংশ মানো না? অত:পর যে ব্যক্তি তোমাদের মধ্য থেকে এরুপ কাজ করবে – পার্থিব জীবনে প্রকাশ্য লাঞ্চণা ভোগ করা
আর কিয়ামতের দিনে ভীষণ শাস্তির মধ্যে নিক্ষিপ্ত হওয়া ছাড়া তার আর কী সাজা হতে পারে!
আর আল্লাহ তো তোমাদের কার্য কলাপ সম্বন্ধেবে- খবর নন”। (সুরা
আল বাকারা-৮৫)।
(৫) “যে ব্যক্তি ইসলাম ছাড়া অন্য কোনো দ্বীন অবলম্বন
করতে চাইবে, তার থেকে সে দ্বীন কবুল করা হবে না। আখেরাতে যারা মহা ক্ষতিগ্রস্ত, সে
তাদের অন্তর্ভুক্ত হবে”। (সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ৮৫)।
(৬) আবদুল্লাহ্ ইব্নু মাস’ঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
বলেছেনঃ আমি হাউযে কাউসারের নিকট তোমাদের আগেই হাজির থাকব। তোমাদের থেকে কিছু লোককে
আমার নিকট পেশ করা হবে। কিন্তু আমি যখন তাদের পান করাতে উদ্যত হব, তখন তাদেরকে আমার
নিকট হতে ছিনিয়ে নেয়া হবে। আমি বলব, হে রব! এরা তো আমার সাথী। তখন তিনি বলবেন, আপনার
পর তারা নতুন কী ঘটিয়েছে তা আপনি জানেন না। (সহীহ বুখারী
(তাওহীদ পাবলিকেশন) ৭০৪৯, ৬৫৭৫, আধুনিক প্রকাশনী ৬৫৬০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৬৫৭৩)। হাদিসের
মানঃ সহিহ হাদিস।
(৭) সাহ্ল
ইব্নু সা’দ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) – কে বলতে শুনেছি যে, আমি হাউজের ধারে তোমাদের আগে হাজির থাকব। যে সেখানে
হাজির হবে, সে সেখান থেকে পান করার সুযোগ পাবে। আর যে একবার সে হাউজ থেকে পান করবে
সে কখনই পিপাসিত হবে না। অবশ্যই এমন কিছু দল আমার কাছে হাজির হবে যাদের আমি (আমার উম্মাত
বলে) চিনতে পারব এবং তারাও আমাকে চিনতে পারবে। কিন্তু এরপরই তাদের ও আমার মাঝে প্রতিবন্ধকতা
দাড় করে দেয়া হবে।
আবূ হাযিম (রহঃ) বলেন, আমি হাদীস বর্ণনা করছিলাম,
এমন সময় নু’মান ইব্নু আবূ আয়াস আমার নিকট হতে এ হাদীসটি শুনে জিজ্ঞেস করলেন, আপনি
কি সাহ্ল থেকে হাদীসটি এরূপ শুনেছেন। আমি বললাম, হ্যাঁ। তখন সে বলল, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি
যে, আমি আবূ সা’ঈদ খুদ্রী (রাঃ) - কে এ হাদীসে অতিরিক্ত বলতে শুনেছি যে, নবী (সাল্লালাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তখন বলবেনঃ এরা তো আমারই অনুসারী। তখন বলা হবে, আপনি নিশ্চয় জানেন
না যে, আপনার পরে এরা দ্বীনের মধ্যে কি পরিবর্তন করেছে (নতুন নতুন ধর্মীয় নিয়ম, যা
আপনি করতে বলেননি) । এ শুনে আমি বলব, যারা আমার পরে পরিবর্তন করেছে, তারা (বিদআতী পির-অলি
ও আলেম) দূর হোক, দূর হোক। (সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
৭০৫০-৭০৫১, আধুনিক প্রকাশনী- ৬৫৬১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৫৭৪)। হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস।
(৮) হারিস আল আশ্’আরী (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমি তোমাদেরকে পাঁচটি কাজের নির্দেশ করছি। যথা- ১. সর্বদা মুসলিম
জামা’আতের সাথে থাকো, ২. আমীরের (শাসকদের) আদেশ-নিষেধ মান্য করো, ৩. আমীরের (শাসকদের)
আনুগত্য করো, ৪. হিজরত করো, ৫. আল্লাহর পথে জিহাদ করো। আর যে ব্যক্তি মুসলিম জামা’আত
থেকে এক বিঘত পরিমাণ দূরে সরে যায়, সে যেন তার গর্দান থেকে ইসলামের রশি খুলে ফেলল,
যতক্ষণ না সে প্রত্যাবর্তন করে। আর যে ব্যক্তি জাহিলী যুগের রসম-রিওয়াজের দিকে আহবান
করে, সে জাহান্নামীদের অন্তর্ভুক্ত। যদিও সে সওম পালন করে, সালাত আদায় করে এবং নিজেকে
মুসলিম বলে দাবী করে। (মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত) ৩৬৯৪,
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত) ২৮৬৩, আহমাদ ১৭১৭০, সহীহ আল জামি ১৭২৪, সহীহ আত্ তারগীব
৫)। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)।
(৯) আবূ হুরায়রা(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বলেছেনঃ আমার সকল উম্মতই জান্নাতে প্রবেশ করবে, কিন্তু যে অস্বীকার করে। তারা বললেনঃ
কে অস্বীকার করবে। তিনি বললেনঃ যারা আমার অনুসরণ করবে তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে, আর
যে আমার অবাধ্য হবে সে-ই অস্বীকার করবে। (সহীহ বুখারী
(তাওহীদ পাবলিকেশন) ৭২৮০,আধুনিক প্রকাশনী- ৬৭৭১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৭৮৩)। হাদিসের
মানঃ সহিহ (Sahih।
(১০) আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহুআনহু হতে বর্ণিত,
তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যাকে ধর্মীয় জ্ঞান বিষয়ক
কোন কথা জিজ্ঞাসা করা হয়, আর সে (যদি উত্তর না দিয়ে) তা গোপন করে, কিয়ামতের দিন তাকে
(জাহান্নামের) আগুনের লাগাম পরানো হবে।” (সুনান আত তিরমিজী
(তাহকীককৃত) ২৬৪৯, সুনান ইবনু মাজাহ ২৬৬, আহমাদ ৭৫১৭, ৭৮৮৩, ৭৯৮৮, ৮৩২৮, ৮৪২৪, ১০০৪৮)।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih।
(১১) আবূ
হুরাইরাহ (রাঃ) বর্ণনা করেন,
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
বলেনঃ যে ইলমের দ্বারা আল্লাহর সন্তুষ্টি অন্বেষণ করা যায়, কোনো লোক যদি দুনিয়াবী স্বার্থ
লাভের জন্য তা শিক্ষা করে, তবে সে কিয়ামতের দিন জান্নাতের সুগন্ধি পাবে না। (সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত) ৩৬৬৪, সুনান ইবনু মাজাহ ২৫২, আহমাদ
৮২৫২)। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)।
(১২) ‘আব্দুল্লাহ ইবনে ‘আমর ইবনে ‘আস রাদিয়াল্লাহু
আনহু হতে বর্ণিত,
তিনি
বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, “নিঃসন্দেহে
আল্লাহ লোকদের নিকট থেকে ছিনিয়ে নিয়ে ইলম তুলে নেবেন না; বরং উলামা সম্প্রদায়কে তুলে
নেওয়ার মাধ্যমে ইলম তুলে নেবেন (অর্থাৎ আলেম দুনিয়া থেকে শেষ হয়ে যাবে।) অবশেষে যখন
কোন আলেম বাকি থাকবে না, তখন জনগণ মূর্খ অনভিজ্ঞ ব্যক্তিদেরকে নেতা বানিয়ে নেবে এবং
তাদেরকে ফতোয়া জিজ্ঞাসা করা হবে, আর তারা না জেনে ফতোয়া দেবে, ফলে তারা নিজেরাও পথভ্রষ্ট
হবে এবং অপরকেও পথভ্রষ্ট করবে। (সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
১০০, ৭৩০৭, সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী) ৬৬৮৯,
আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ২৬৭৩, সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত) ২৬৫২, সুনান ইবনু মাজাহ ৫২,
আহমাদ ৬৪৭৫, ৬৭৪৮, ৬৮৫৭, দারেমী ২৩৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৬৫৫২, ইসলামিক সেন্টার ৬৬০৬)।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)।
(১৩) কা’ব বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)
বলেছেন যে, “যে ব্যক্তি উলামাদের সাথে তর্ক করার জন্য, অথবা মূর্খ লোকেদের সাথে বচসা
করার জন্য এবং জন সাধারণের সমর্থন (বা অর্থ) কুড়াবার জন্য ইল্ম অন্বেষণ করে, সে ব্যক্তিকে
আল্লাহ জাহান্নাম প্রবেশ করাবেন।” (সুনান আত তিরমিজী
(তাহকীককৃত) ২৬৫৪, মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত) ২২৫, ইবনে আবিদ্দুনয়্যা, হাকেম ২৯৩, বাইহাক্বীর
শুআবুল ঈমান ১৭৭২, সহীহ তারগীব ১০০, সহীহুল জামি ১০৬, তা’লীকুর রাগীব ১/৬৮)। হাদিসের
মানঃ হাসান (Hasan)।
(১৪) আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন,
“তোমরা আমার উপর মিথ্যা বলো না। যেহেতু যে আমার প্রতি মিথ্যা আরোপ করল, সে যেন দোযখে
প্রবেশ করল।” (সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন) ১০৬, সহীহ
মুসলিম (হাদীস একাডেমী) ২, আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ২, আধুনিক প্রকাশনীঃ ১০৪, ইসলামিক
ফাউন্ডেশনঃ ১০৭)। হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস।
(১৫) সালামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন,
“যে ব্যক্তি আমি যা বলিনি তা বানিয়ে বলে, সে যেন নিজের ঠিকানা দোযখে বানিয়ে নেয়। (সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন) ১০৯, আধুনিক প্রকাশনীঃ ১০৭,
ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১১০)। হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস।
(১৬) আবূ
হুরাইরাহ (রাযি.) হতে বর্ণিত যে,
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ
’আমার নামে তোমরা নাম রেখ; কিন্তু আমার উপনামে (কুনিয়াতে) তোমরা নাম রেখ না। আর যে
আমাকে স্বপ্নে দেখে সে ঠিক আমাকেই দেখে। কারণ শয়তান আমার আকৃতির ন্যায় আকৃতি ধারণ করতে
পারে না। যে ইচ্ছা করে আমার উপর মিথ্যারোপ করে সে যেন জাহান্নামে তার আসন বানিয়ে নেয়।’
(সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন) ১১০, ৩৫৩৯, ৬১৮৮, ৬১৯৭,
৬৯৯৩; মুসলিম মুকাদ্দামা, দ্বিতীয় অধ্যায়, হাঃ ৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১০৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ
১১১)। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)।
(১৭) জারীর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন জাতির মধ্যে প্রকাশ্যে পাপাচার হতে থাকে
এবং তাদের প্রভাবশালী ব্যক্তিরা ক্ষমতা থাকা সত্বেও তাদের পাপাচারীদের বাধা দেয় না,
তখন আল্লাহ তা’আলা তাদের উপর ব্যাপকভাবে শাস্তি পাঠান। (সুনান
ইবনু মাজাহ ৪০০৯, সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত) ৪৩৩৯, আহমাদ ১৮৭৩১, ১৮৭৬৮, আত-তালীকুর
রাগীব ৩/১৭০, ইবনে হিব্বান, সহীহ আবূ দাউদ ৩৬৪৬)। হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)।
(১৮) আবূ
ওয়াইল (রহ.) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, উসামাহ (রাঃ)-কে বলা হল, কত ভাল
হত! যদি আপনি ঐ ব্যক্তির (উসমান (রাঃ)-এর নিকট যেতেন এবং তাঁর সঙ্গে আলোচনা করতেন।
উত্তরে তিনি বললেন, আপনারা মনে করছেন যে আমি তাঁর সঙ্গে আপনাদেরকে শুনিয়ে শুনিয়ে বলব।
অথচ আমি তাঁর সঙ্গে (দাঙ্গা দমনের ব্যাপারে) গোপনে আলোচনা করছি, যেন আমি একটি দ্বার
খুলে না বসি। আমি দ্বার উন্মুক্তকারীর প্রথম ব্যক্তি হতে চাই না। আমি আল্লাহর রাসূল
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট হতে কিছু শুনেছি, যার পরে আমি কোন ব্যক্তিকে
যিনি আমাদের আমীর নির্বাচিত হয়েছেন এ কারণে তিনি আমাদের সবচেয়ে উত্তম ব্যক্তি এ কথা
বলতে পারি না। লোকেরা তাঁকে বলল, আপনি তাঁকে কী বলতে শুনেছেন? উসামাহ (রাঃ) বললেন,
আমি তাঁকে বলতে শুনেছি, কিয়ামতের দিন এক ব্যক্তিকে আনা হবে। অতঃপর তাকে জাহান্নামে
নিক্ষেপ করা হবে। তখন আগুনে পুড়ে তার নাড়িভুঁড়ি বের হয়ে যাবে। এ সময় সে ঘুরতে থাকবে
যেমন গাধা তার চাকা নিয়ে তার চারপাশে ঘুরতে থাকে। তখন জাহান্নামবাসীরা তার নিকট একত্রিত
হয়ে তাকে বলবে, হে অমুক ব্যক্তি! তোমার এ অবস্থা কেন? তুমি না আমাদেরকে সৎ কাজের আদেশ
করতে আর অন্যায় কাজ হতে নিষেধ করতে? সে বলবে, আমি তোমাদেরকে সৎ কাজে আদেশ করতাম বটে,
কিন্তু আমি তা করতাম না আর আমি তোমাদেরকে অন্যায় কাজ হতে নিষেধ করতাম, অথচ আমিই তা
করতাম। এ হাদীসটি গুনদার (রহ.) শুবা (রহ.) সূত্রে আ‘মাশ (রহ.) হতে বর্ণনা করেছেন। (সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন) ৩২৬৭, ৭০৯৮, সহীহ মুসলিম (হাদীস
একাডেমী) ৭৩৭৩, আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ২৯৮৯, আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩০২৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ
৩০৩৬)। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih।
(১৯) ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, নিশ্চয়ই তোমাদেরকে হাশর ময়দানে খালি পা, বস্ত্রহীন এবং খাতনাবিহীন
অবস্থায় উপস্থিত করা হবে। অতঃপর তিনি পবিত্র কুরআনের আয়াতটি তিলাওয়াত করলেনঃ যেভাবে
আমি প্রথমে সৃষ্টির সূচনা করেছিলাম, সেভাবে পুনরায় সৃষ্টি করব। এটি আমার প্রতিশ্রুতি।
এর বাস্তবায়ন আমি করবই- (আম্বিয়াঃ ১০৪)। আর কিয়ামতের দিন সবার আগে যাকে কাপড় পরানো
হবে তিনি হবেন ইবরাহীম (আঃ)। আর আমার অনুসারীদের মধ্য হতে কয়েকজনকে পাকড়াও করে বাম
দিকে অর্থাৎ জাহান্নামের দিকে নিয়ে যাওয়া হবে। তখন আমি বলব, এরা তো আমার অনুসারী, এরা
তো আমার অনুসারী। এ সময় আল্লাহ বললেন, যখন আপনি এদের নিকট হতে বিদায় নেন, তখন তারা
পূর্ব ধর্মে ফিরে যায়। কাজেই তারা আপনার সাহাবী নয়। তখন আল্লাহর নেক বান্দা [ঈসা (আঃ)]
যেমন বলেছিলেন; তেমন আমি বলব, হে আল্লাহ! আমি যতদিন তাদের মাঝে ছিলাম, ততদিন আমি ছিলাম
তাদের অবস্থার পর্যবেক্ষক। আপনি ক্ষমতাধর হিকমতওয়ালা-(আল-মায়িদাহ ১১৭-১১৮)। (সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন) ৩৩৪৯, ,৪৩৩৭, ৪৬২৫, ৪৬২৬, ৪৬৪০,
৬৫২৪, ৬৫২৬, আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩১০১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩১০৯)। হাদিসের মানঃ সহিহ
(Sahih)।
ভন্ড পির-অলি ও বিদআতী আলেমদের তওবাও কবুল হয় না যতক্ষণ না---
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বলেন, “আল্লাহ প্রত্যেক বিদআতীর তওবা ততক্ষণ পর্যন্ত স্থগিত রাখেন (গ্রহণ করেন না),
যতক্ষণ পর্যন্ত সে তার বিদআত বর্জন না করেছে।” (ত্বাবারানীর
আওসাত্ব ৪২০২, বাইহাক্বীর শুআবুল ঈমান ৯৪৫৭, সহীহ তারগীব ৫৪নং)। হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস।
================================================
আপনিও হোন ইসলামের প্রচারক
প্রবন্ধের লেখা অপরিবর্তন রেখে এবং উৎস উল্লেখ্য
করে আপনি Facebook, Twitter, ব্লগ, আপনার বন্ধুদের Email Addressসহ অন্য Social
Networking ওয়েবসাইটে শেয়ার করতে পারেন, মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামের আলো ছড়িয়ে
দিন।
(ক) আল্লাহ তায়ালা বলেন, “তোমরাই শ্রেষ্ঠ উম্মত,
মানুষের (কল্যাণের) জন্য তোমাদেরকে বের করা হয়েছে। তোমরা মানুষকে সৎ কাজের আদেশ করবে
এবং অসৎকাজ থেকে নিষেধ করবে।” (সূরা আল-ইমরান, আয়াত-১১০)।
(খ) তিনি আরো বলেন, “তার চেয়ে ভাল কথা আর কি
হতে পারে, যে মানুষকে আল্লাহর দিকে ডাকে, নিজে নেক আমল করে আর বলে যে, আমি সাধারণ মুসলমানদের
মধ্য হতে একজন। (সূরা হা মীম সিজদা আয়াত-৩৩)।
(গ) আবূ
হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কোন লোককে সৎ কাজের দিকে আহবান করবে, তার জন্যও সে পরিমাণ
সাওয়াব রয়েছে যা তার অনুসারীদের জন্য রয়েছে, অথচ তাদের সাওয়াবের কোন অংশ একটুও কমবে
না। অনুরূপ যে ব্যক্তি কাউকে গোমরাহীর দিকে আহবান করে তারও সে পরিমাণ গুনাহ হবে, যতটুকু
গুনাহ তার অনুসারীদের জন্য হবে। অথচ এটা অনুসারীদের গুনাহকে একটুও কমাবে না। (মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত) ১৫৮, সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
৬৬৯৭, আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ২৬৭৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৬৫৬০, ইসলামিক সেন্টার ৬৬১৪)।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)।
(ঘ) আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
আমার কথা পৌঁছিয়ে দাও, তা যদি এক আয়াতও হয়। আর বনী ইসরাঈলের ঘটনাবলী বর্ণনা কর। এতে
কোন দোষ নেই। কিন্তু যে কেউ ইচ্ছে করে আমার উপর মিথ্যারোপ করল, সে যেন জাহান্নামকেই
তার ঠিকানা নির্দিষ্ট করে নিল। (সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
৩৪৬১, আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩২০৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩২১২, হাদিস সম্ভার, হাদিস নং ১৫৪৮, রিয়াদুস
সলেহিন, হাদিস নং ১৩৮৮)। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)।
===========================================
লেখক ও সংকলকঃ
মো: ইজাবুল আলম-এম.এ, সি.ইন,এড (ইসলামিক স্টাডিজ-রংপুর কারমাইকেল ইউনিভার্সিটি কলেজ, রংপুর), বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ, গবেষক
ও লেখক।
(মহাপরিচালক-পিএমএমআরসি, এমএসএইসআরসি, গুলশান-২, ঢাকা, বাংলাদেশ।
===========================================
BCSসহ যেকোনো সরকারি বেসরকারি চাকরি সহজে পেতে এখানে ক্লিক করুন।
============================================
Please Share On